May 17, 2024, 11:49 am

পুত্রবধূর পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় শাশুড়িকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা

শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) কেশবপুরে পুত্রবধূর পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় শাশুড়ি জাহানারা বেগম (৫৮) কে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালোনোর অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (৫জুন) রাতে উপজেলার কাস্তা গ্রামে মিন্টু মোড়লের স্ত্রী ঝর্না বেগমের প্রেমে আসক্ত বাবু সরদার ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আহত ওই নারী কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহতের ছেলে মিন্টু বাদি হয়ে তার স্ত্রী ও বাবুর নামে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পরিবার ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাস্তা গ্রামের মিন্টু মোড়লের স্ত্রী ঝর্না বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী গোপসেনা গ্রামের মৃত ফজর সরদারের ছেলে বাবু সরদারের সাথে মাঠে গরু-ছাগল জন্য ঘাঁস কাটার সময় একে-অপরের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক্য গড়ে ওঠে। তারপর থেকে ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে বাবু সরদার। বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়ি জানতে পেরে পুত্রবধূকে পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করেন তারা। তারই জের ধরে গত রবিবার (৫জুন) রাতে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত বাবু সরদার তাদের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে ঝর্নার শাশুড়ি জাহানারা বেগমকে কৌশলে ডেকে বাড়ির পাশে জনৈক বিজয় মল্লিকের পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে জবাই করতে গেলে তিনি দু’হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান এবং বাম হাতের আঙ্গুল কেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। ওই সময় তার ডাক চিৎকারে এলাবাসী ছুটে আসলে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বাবু সরদার। পরিবার ও এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে জাহানারা বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. আহসানুল মিজান রুমি বলেন, গতকাল রাতে দুই হাতে ছুরিকাঘাতে আহত জাহানারা বেগমকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসা সেবা প্রদান করে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতেলে ভর্তি আছেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা